Home / বিউটি টিপস / সুন্দর ও মসৃণ কনুই পাওয়ার সহজ কিছু উপায়

সুন্দর ও মসৃণ কনুই পাওয়ার সহজ কিছু উপায়

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো সুন্দর ও মসৃণ কনুই পাওয়ার সহজ কিছু উপায়। আবহাওয়া, অযত্ন ইত্যাদি কারণে হাতের কনুইয়ে ত্বক কালো আর রুক্ষ হয়ে যায়। এ জন্য প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন। কনুইয়ের ত্বক(Skin) সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয় কনুইয়ের ত্বক(Skin) হাতের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় মোটা হয়। এই অংশে সাধারণত ‘অয়েল গ্ল্যান্ড’য়ের সংখ্যা কম হওয়ায় কনুই(Elbow) তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে পড়ে। কয়েকটি সাধারণ ধাপ অনুসরণ করে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাতের কনুইয়ের পরিচর্যা করা যায়।কনুই

সুন্দর ও মসৃণ কনুই পাওয়ার সহজ কিছু উপায়

এক্সফলিয়েট
কনুইয়ের ত্বক তুলনামূলক মোটা হওয়ায় স্ক্রাবার ব্যবহারের আগে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। মধুর সঙ্গে মোটা দানার চিনি মিশিয়ে হাত ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করলেই কনুইয়ের মৃত চামড়া উঠে আসবে। চিনি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে আর আর মধু(Honey) ত্বক কোমল করে। সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

ত্বক এক্সফলিয়েট করতে লেবুও বেশ উপকারী। এক টুকরা লেবুর উপর আধা চামচ লবণ ও চিনি নিয়ে টুকরাটি কনুইয়ে ভালোমতো ঘষতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি(Water) দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর ভিটামিন সি ও সিট্রিক অ্যাসিড ত্বকের রং উজ্জ্বল করার প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে লেবু ও চিনির মিশ্রণ মৃতকোষ পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।

ময়েশ্চারাইজ
কনুইয়ের ত্বকের জন্য সাধারণ বডি লোশন যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি(Petroleum jelly)। কারণ কনুইয়ের শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি অত্যন্ত কার্যকর।

ম্যাসাজ
প্রতিদিন নিয়ম করে যে কোনো তেল, যেমন: নারিকেল তেল, বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল(Olive oil) দিয়ে কনুই মালিশ করলে ত্বক ভালোভাবে তেল শুষে নিতে পারে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক সুন্দর হয়।নানান রকম প্রাকৃতিক তেল যেমন জলপাইয়ের তেল, নারিকেল তেল ও বাদামের তেলে ভিটামিন ই(Vitamin E) থাকে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। অলিভ অয়েলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কালো ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক(Skin) সারাই করতে পারে। তাই প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কোনো প্রাকৃতিক তেল কনুইয়ে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

তাছাড়া নিয়মিত পরিচর্যা ত্বক সুন্দর রাখতে ও কনুইয়ের কালচেভাব দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন গোসলের সময় ভালোভাবে সাবান দিয়ে কনুই ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। সম্ভব হলে নরম কাপড় বা লোফা দিয়ে ঘষতে হবে। সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব(Scrub) ব্যবহার করা জরুরি। ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের প্যাক ব্যবহার করা হয়। তেমনই কনুই সুন্দর রাখতেও প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। প্যাকে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকে পুষ্টি(Nutrition) জোগাতে সাহায্য করে।

বেসন ও টক দইয়ের প্যাক
বেসন, টক দই, চিনি, পাতি লেবুর রস(Lemon juice) একসঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে। চিনি গলে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজারা লাগাতে হবে।

হলুদ, মধু ও দুধের প্যাক
হলুদের অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ত্বক সুস্থ রাখে এবং দুধ ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। মধু শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা জুগিয়ে থাকে। তাই এই উপাদানগুলো কনুইয়ের ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। দুধ, মধু(Honey) ও হলুদ এক সঙ্গে পরিমাণ মতো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। কনুইয়ে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর হালকা ভিজিয়ে দুই মিনিট মালিশ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

তাছাড়া কনুইয়ের ত্বকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বাঁচাতে ঘর থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন(Sunscreen) লোশন ব্যবহার করতে হবে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

মেকআপ

দ্রুত মেকআপ করার ৮টি সহজ পদ্ধতি

রমজানে পুরো মাসব্যাপী রোজা রাখার পর শরীর থাকে ক্লান্ত। এরপর আসে ঈদ। আর সেখানে কর্মব্যস্ত ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *