লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়ায়। তবে অনেক নারী লিপস্টিক(Lipstick) ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন না। এর ফলে অনেকের ঠোঁট কালো হওয়া থেকে শুরু করে এলার্জির সমস্যাও হয়ে থাকে। তাই গুণগত বৈশিষ্ট্য না জেনে লিপস্টিক(Lipstick) ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এজন্য Lipstick ব্যবহারের খুঁটিনাটি জানা জরুরি।
লিপস্টিক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জেনে নিন
আসুন জেনে নিই লিপস্টিক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম-
১. ঠোঁট(Lip) ভালো রাখতে অবশ্যই গুণাগত মান যাচাই করে ভালো মানের Lipstick ব্যবহার করতে হবে। কেনার আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের লিপস্টিকের গুণগত মান সম্পর্কে জানুন। কম দামি অনেক লিপস্টিকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল(Chemical) থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
২. লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট(Lip) লিপলাইনার দিয়ে আঁকিয়ে নিন। এতে সুন্দর দেখাবে, আবার দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিকও থাকবে।
৩. ঠোঁটে বেশি গাঢ় রঙের লিপস্টিক(Lipstick) লাগানোর পর একটি মোটা টিস্যু পেপার ঠোঁটের মাঝে রেখে একটু চেপে ধরুন। কিছুক্ষণ পরই দেখবেন গাঢ় ভাব আর নেই।
৪. Lipstick ব্যবহারের পর রুমাল দিয়ে ঘষে মুছবেন না। এতে ঠোঁটের সূক্ষ্ম চামড়া ছিঁড়তে পারে।
৫. লিপস্টিকের রং খুব হালকা করতে চাইলে লিপস্টিকের উপর সামান্য ভেসলিন ব্যবহার করুন।
৬. ক্যাডমিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামসহ কয়েক ধরনের ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয় Lipstick। যা শরীরের বিপাকক্রিয়া ও অম্লের সঙ্গে মিশে বিষাক্ত হয়। খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিকে থাকা বিষাক্ত উপাদান চলে যায় পেটে। যার ফল হতে পারে মারত্মক। তাই খাওয়ার সময় লিপস্টিক(Lipstick) ব্যবহার না করাই ভালো।
৭. ব্যবহৃত লিপস্টিকের মেয়াদ আছে কিনা দেখে নিন। মেয়াদহীন Lipstick দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার(Cancer) পর্যন্ত হতে পারে।
৮. কাপড়ে লাগা লিপস্টিকে দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন শেভিং ক্রিম(Shaving cream)। কাপড়ের যে স্থানে দাগ লেগেছে, সেখানে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগিয়ে স্ক্রাব করলেই উঠে যাবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।