ঘরে বসে বসে এই কয়েক মাসে ওজন(Weight) কি বেড়ে গেছে? আর বাড়তি মেদ নিয়ে নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তাও রয়েছে? এই পরিস্থিতিতে কিন্তু কফিই কিন্তু আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শরীরে বাড়তি মেদ(Fat) থাকলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। ওজন কমাতে কফি বেশ সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ, দুধ-চিনি মেশানো সুস্বাদু কফি(Coffee) নয়, সমাধান সূত্র লুকিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক কফিতে।
কফি খেলে কি আসলেই মেদ কমে? জেনে নিন
এই ধরনের কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ একেবারে খুবই কম থাকে। আর ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানান হলে সেখানে ক্যালোরি(Calories) প্রায় থাকেই না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড(Chlorogenic acid) নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে তা শরীরের জন্যও অনেক উপাকার। বিজ্ঞান বলে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট(Fat) কোষ তৈরি হয় না।
এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস(Antioxidant) আছে যা দ্রুত ওজন কমানোর পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্ল্যাক কফির সঙ্গে যদি সামান্য মধু আর লেবু যোগ করে খেতে পারেন, তাহলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই তা ওজন কমানোর জন্য উপকারী। ব্ল্যাক কফিতে থাকে ক্যাফিন(Caffeine) যা খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়।
তবে খালি পেটে বা একদম সকালে কফি(Coffee) না খাওয়াই ভাল। যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাঁরা বরং রাতে কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। লেবু-মধু মিশিয়ে এই কফি খাওয়ার আদর্শ সময় হলো সন্ধ্যাবেলা। কফির সঙ্গে মধু আর লেবুর রস(Lemon juice) মেশালে হজম ভালো হয়। মধুর বদলে ব্রাউন সুগারও ব্যবহার করতে পারেন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।