Home / লাইফস্টাইল / চাকরির পাশাপাশি আয় বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

চাকরির পাশাপাশি আয় বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

মাস গেলে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ পান যাঁরা, তাঁদের অনেকেই জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি আয় বাড়ানোর প্রচেষ্টাও করা যেতে পারে। সব উপায় অবশ্য সবার জন্য বাস্তবসম্মত হবে না। তবে সততা বজায় রেখে রোজগার বাড়ানোর কিছু উপায় ভেবে দেখা যেতে পারে।আয়

চাকরির পাশাপাশি আয় বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

১। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ
ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) বা মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে কাজ করে জীবন বদলের কত বাস্তব গল্পই তো আমরা দেখি পত্রিকার পাতায়। আপনিও চেষ্টা করে দেখুন না। এর জন্য অবশ্য নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোন ধরনের কাজ আপনি করতে পারবেন, তা ভেবে দেখুন। যুগোপযোগী কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিতে পারেন। আপনার মূল পেশার পাশাপাশিই শুরু করতে পারেন এমন কাজ।

২। নান্দনিকতার চর্চা
কেউ নকশা করতে পারেন ক্ষুদ্র বস্তুতে, কেউ গড়তে পারেন গয়না, কেউ জানেন পোশাক তৈরির কাজ, কেউ আবার মেহেদির নকশায় পটু। আবার কেউ চমৎকার কেক (Cake) তৈরি করেন বা রান্না করেন। এমন কোনো কাজে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন, ছোট পরিসরে তা নিয়েও এগোতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, এমন কাজ করে ভালো রোজগার করতে গেলে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে আপনাকে। মূল পেশার পাশাপাশি এমন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে দেখতে পারেন, কেমন সাড়া পাচ্ছেন। তবে একদিনেই কেউ সফল হয় না, সেটাও মনে রাখতে হবে।

৩। রাইড শেয়ারিং
নিজস্ব যানবাহন থাকলে অবসর সময়ে, এমনকি অফিসের আগে বা পরেও খানিকটা বাড়তি সময় ব্যয় করে আপনি অন্য কাউকে পৌঁছে দিতে পারেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। এটি আপনার বাড়তি আয়ের একটি ভালো উৎস হতে পারে। আর এই টাকা দিয়ে আপনার সংসারের টুকটাক দরকারি খরচগুলো সহজে করতে পারবেন।

৪। শেখাতে পারেন
ছাত্রজীবনে অনেকেই টিউশনি (Tuition) করান। কর্মজীবনে এসেও কিন্তু আপনার কর্মঘণ্টার আগে বা পরে কিংবা ছুটির দিনে আপনি কাউকে পড়াতে পারেন। যত্ন নিয়ে পড়ালে আপনি এভাবেও বেশ কিছুটা বাড়তি আয় করতে পারবেন। একইভাবে পড়ালেখার বাইরেও এমন কিছু শেখাতে পারেন, যাতে আপনি দক্ষ, যেমন ছবি আঁকা, হাতের লেখা বা আবৃত্তি।

৫। ছাদ বা বারান্দা কাজে লাগান
ছাদে বা বারান্দায় সবজি (Vegetable) চাষ করতে পারেন। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রোজগার সব সময় অর্থের পরিমাপে হয় না। ধরে নেওয়া যাক, আপনি ছাদে বা বারান্দায় সবজি চাষ করছেন। কিন্তু তা বিক্রি করে অর্থ রোজগার করতে পারছেন না, বরং তা কেবল নিজের পরিবারের কাজে লাগছে। এটিও কিন্তু ‘রোজগার’। যে দামে আপনি ওই সবজি বাজার থেকে কিনতেন, সবজি চাষ করতে আপনার তার চেয়ে কম খরচ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এই চাষের খরচটা আপনার বিনিয়োগ; ফলন যা হলো, তাতেই আপনার রোজগার।

তবে খেয়াল রাখুন
সহজে বাড়তি রোজগারের আশায় অনেকে ভুল পথে পা বাড়ান। এমনটা করা যাবে না। সততা বজায় রাখুন এবং প্রলোভনের ফাঁদ এড়িয়ে চলুন। লটারি (Lottery), জুয়া, কম বিনিয়োগে বেশি মুনাফা—এমন চটকদার বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান। অনেকে রোজগার বাড়াতে বাড়ির ভেতর কোনো ঘর ভাড়া দেন (সাবলেট)। এভাবে ভাড়া দেওয়ার আগে অবশ্যই সব দিক ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে নিন।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

পোশাক

গরমে স্বস্তির পোশাক কেমন হবে

তীব্র গরমে ঘাম থেকে বাঁচতে বুঝেশুনে পোশাক (Dress) নির্বাচন করতে হবে। অত্যধিক ঘামের মাধ্যমে শরীর ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *