রান্নার ক্ষেত্রে তেল(Oil) একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি খাবারের গুণমান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাজারে নানা ধরনের তে‘ল থাকায় অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর(Healthy) তা ভেবে। পুষ্টিবিদদের মতে, তে‘ল বাছাইয়ের মতো সঠিক পরিমাণে রান্নার তে‘ল(Oil) ব্যবহার করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার(Food) খেলে শুধু ওজনই বাড়ে না, এতে কোলেস্টেরলের(Cholesterol) মাত্রাও বেড়ে স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। রান্নায় ব্যবহৃত তেলগুলো থেকে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
রান্নার জন্য কোন তেল কতটা উপকারী জেনে নিন
অলিভ অয়েল : অনেক জায়গাতেই রান্নায় অলিভ অয়েল(Olive oil) ব্যবহার করা হয়। এই তেল ওজন(Weight)কমানোর জন্য বেশ উপকারী। অলিভ অয়েলে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্যান্সার এবং হৃদরোগের(Heart disease) ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল সালাদ, স্যুপ বা রুটি(Bread) তৈরিতে ব্যবহার করলে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
নারকেল তেল : নারকেল তেলও স্বাস্থ্যকর রান্নার তে‘ল। এতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড(Fatty acids) রয়েছে। এটি শরীরের ফ্যাট ঝরিয়ে দ্রুত শক্তি উত্পাদন করে। রান্নায় এই তে‘ল(Oil) ব্যবহার করলে খাবার সহজে হজম(Digestion) হয়। সেই সঙ্গে নারকেল তেল(Coconut oil) বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। চুল(Hair) এবং ত্বকের জন্যও এই তে‘ল উপকারী ।
চিনাবাদাম তেল : চিনাবাদাম তেলে উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে যাদের অ্যালার্জির(Allergie) সমস্যা আছে তাদের এই তে‘ল(Oil) এড়ানো উচিত।
রাইস ব্রান অয়েল : এই তেলে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড(Fatty acids) থাকে। ধানের তুষ থেকে তৈরি রাইস ব্রান অয়েল কোলেস্টেরল হ্রাসে ভূমিকা রাখে।
তিলের তেল : তিলের তে‘ল(Oil) ভাজাভাজির জন্য আদর্শ। এতে প্রায় সম পরিমাণে পলিউনস্যাচুরেটেড বং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড(Fatty acids) আছে যা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
সরিষার তেল : সরিষার তেলে পর্যাপ্ত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট(Fat )থাকে। এ কারণে এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তারা এই তেলে তৈরি খাবার(Food) খেতে পারেন। ভাজাভাজির জন্য এই তেলও বেশ উপকারী।